মাসিকের কত দিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয় না, গর্ভধারণের সম্ভাবনা মাসিক চক্রের বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন থাকে তা মাসিক চক্রের উপর নির্ভর করে একজন মহিলা গর্ভবতী হয়। একজন মহিলা মাসিকের কতদিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয়না তার বিজ্ঞান ভিত্তিক ব্যাখ্যা নিম্নে দেওয়া হল।
মাসিক চক্র:
- মাসিক চক্র গড়ে ২৮ দিন ধরে স্থায়ী হয়।
- প্রতিটি মাসিক চক্রের প্রথম দিন হলো মাসিক শুরুর দিন।
- মাসিক চক্রের ১৪তম দিনে ডিম্বস্ফোটন ঘটে।
গর্ভধারণের সম্ভাবনা:
- ডিম্বস্ফোটনের আগের ২-৩ দিন এবং ডিম্বস্ফোটনের দিন সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।
- ডিম্বস্ফোটনের ৫ দিন পরে সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে না।
- মাসিকের সময় সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা খুব কম থাকে।
বৈজ্ঞানিক তথ্য:
- ডিম্বস্ফোটনের পর ডিম্ব 24 ঘন্টা পর্যন্ত জীবিত থাকে।
- শুক্রাণু 72 ঘন্টা পর্যন্ত মহিলার প্রজননতন্ত্রে জীবিত থাকতে পারে।
- গর্ভধারণের জন্য ডিম্ব এবং শুক্রাণুর মিলন প্রয়োজন।
আর পড়ুন মেয়েদের ছবি | সুন্দর মেয়ে প্রোফাইল পিক | কিউট মেয়েদের প্রোফাইল পিক
গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমাতে নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে:
- ক্যালেন্ডার পদ্ধতি: মাসিক চক্রের হিসাব করে ডিম্বস্ফোটনের সময় নির্ধারণ করা এবং সেই সময় সহবাস এড়ানো।
- শারীরিক তাপমাত্রা পদ্ধতি: প্রতিদিন সকালে শরীরের তাপমাত্রা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে ডিম্বস্ফোটনের সময় নির্ধারণ করা এবং সেই সময় সহবাস এড়ানো।
- মucus পদ্ধতি: যোনির স্রাব পর্যবেক্ষণ করে ডিম্বস্ফোটনের সময় নির্ধারণ করা এবং সেই সময় সহবাস এড়ানো।
- কনডম ব্যবহার: কনডম ব্যবহার করলে শুক্রাণু ডিম্বে পৌঁছাতে পারে না।
- জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল ব্যবহার: জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল ডিম্বস্ফোটন বন্ধ করে।
আরও পড়ুন গাজা খেয়ে দুধ খেলে কি হয়
গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়াতে নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে:
- ডিম্বস্ফোটনের সময় সহবাস করা।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া।
- নিয়মিত ব্যায়াম করা।
- পর্যাপ্ত ঘুম করা।
- মানসিক চাপ কমানো।
উল্লেখ্য যে, এই তথ্যগুলি শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞানের জন্য।
গর্ভধারণ সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
মাসিকের কতদিন পর সহবাস করা উচিত
মাসিকের কতদিন পর সহবাস করা উচিত তা নির্ভর করে আপনার গর্ভধারণের পরিকল্পনার উপর।
আপনি যদি গর্ভধারণ করতে চান:
- ডিম্বস্ফোটনের আগের ২-৩ দিন এবং ডিম্বস্ফোটনের দিন সহবাস করা উচিত।
- ডিম্বস্ফোটনের ৫ দিন পরে সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে না।
আপনি যদি গর্ভধারণ এড়াতে চান:
- ডিম্বস্ফোটনের সময় সহবাস এড়ানো উচিত।
- মাসিকের সময় সহবাস করা উচিত নয়।
ডিম্বস্ফোটনের সময় নির্ধারণ করার কিছু পদ্ধতি:
- ক্যালেন্ডার পদ্ধতি: মাসিক চক্রের হিসাব করে ডিম্বস্ফোটনের সময় নির্ধারণ করা।
- শারীরিক তাপমাত্রা পদ্ধতি: প্রতিদিন সকালে শরীরের তাপমাত্রা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে ডিম্বস্ফোটনের সময় নির্ধারণ করা।
- mucus পদ্ধতি: যোনির স্রাব পর্যবেক্ষণ করে ডিম্বস্ফোটনের সময় নির্ধারণ করা।
- ওভুলেশন টেস্ট কিট ব্যবহার করা।
গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমাতে নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে:
- কনডম ব্যবহার করা।
- জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল ব্যবহার করা।
- IUD ব্যবহার করা।
- implants ব্যবহার করা।
গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়াতে নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে:
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া।
- নিয়মিত ব্যায়াম করা।
- পর্যাপ্ত ঘুম করা।
- মানসিক চাপ কমানো।
গর্ভধারণ সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
বিজ্ঞান ভিত্তিক তথ্যঃ
মাসিক চক্রের বিভিন্ন সময়ে গর্ভধারণের সম্ভাবনা ভিন্ন ভিন্ন থাকে। ডিম্বস্ফোটনের সময় গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। ডিম্বস্ফোটনের আগের ২-৩ দিন এবং ডিম্বস্ফোটনের দিন সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা 70-80%। ডিম্বস্ফোটনের ৫ দিন পরে সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা 10% এর কম।
আপনি যদি গর্ভধারণ এড়াতে চান, তাহলে ডিম্বস্ফোটনের সময় সহবাস এড়ানো উচিত। ডিম্বস্ফোটনের সময় এড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়াতে এবং গর্ভধারণের পর সুস্থ সন্তান জন্মদানের জন্য কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলা উচিত যেগুলি হলঃ
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া: ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য, এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।
- নিয়মিত ব্যায়াম করা: প্রতিদিন কমপক্ষে 30 মিনিট ব্যায়াম করা।
- পর্যাপ্ত ঘুম করা: প্রতিদিন 7-8 ঘন্টা ঘুম করা।
- মানসিক চাপ কমানো: যোগব্যায়াম, ধ্যান, বা অন্যান্য উপায়ে মানসিক চাপ কমানো।
- ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করা: ধূমপান ও মদ্যপান গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।
- ক্যাফেইন গ্রহণ কমানো: অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
- ফোলেট সম্পূরক গ্রহণ করা: ফোলেট গর্ভপাতের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
গর্ভধারণের পর:
- নিয়মিত ডাক্তারের সাথে দেখা করা: নিয়মিত ডাক্তারের সাথে দেখা করলে গর্ভধারণের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা এবং সম্ভাব্য জটিলতাগুলি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া: গর্ভধারণের পর স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
- নিয়মিত ব্যায়াম করা: গর্ভধারণের পর নিয়মিত ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ।
- পর্যাপ্ত ঘুম করা: গর্ভধারণের পর পর্যাপ্ত ঘুম করা গুরুত্বপূর্ণ।
- মানসিক চাপ কমানো: গর্ভধারণের পর মানসিক চাপ কমানো গুরুত্বপূর্ণ।
- ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করা: ধূমপান ও মদ্যপান গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।
- ক্যাফেইন গ্রহণ কমানো: অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
গর্ভধারণ ও সন্তান জন্মদান একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া।
এই প্রক্রিয়ার সকল দিক সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশে মানুষের সন্তান ধারণের ক্ষমতা বেশি কেন?
বাংলাদেশে মানুষের সন্তান ধারণের ক্ষমতা বেশি হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে।
কারণগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
১) প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা ও জ্ঞানের অভাব:
- বাংলাদেশে অনেক মানুষের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা ও জ্ঞানের অভাব রয়েছে।
- এর ফলে তারা গর্ভধারণ রোধের কার্যকর পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন না।
- ফলে তারা নিয়মিত গর্ভধারণ করে।
২) কম বয়সে বিয়ে:
- বাংলাদেশে অনেক মেয়ে কম বয়সে বিয়ে করে।
- কম বয়সে বিয়ে করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৩) ঐতিহ্য ও ধর্মীয় বিশ্বাস:
- বাংলাদেশের কিছু ঐতিহ্য ও ধর্মীয় বিশ্বাস গর্ভধারণ রোধকে নিরুৎসাহিত করে।
- এর ফলে অনেক মানুষ গর্ভধারণ রোধের পদক্ষেপ গ্রহণ করে না।
৪) সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণ:
- বাংলাদেশের অনেক মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে।
- দারিদ্র্যের কারণে তারা গর্ভধারণ রোধের ব্যবস্থা করতে পারে না।
- অনেক পরিবারে ছেলে সন্তানের প্রতি পছন্দ বেশি থাকে।
- ফলে তারা বারবার গর্ভধারণ করে ছেলে সন্তানের আশায়।
৫) সরকারি নীতি:
- বাংলাদেশের সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন নীতিমালা বাস্তবায়ন করেছে।
- কিন্তু এই নীতিমালাগুলি সবসময় সফল হয় না।
উপরোক্ত কারণগুলি ছাড়াও আরও কিছু কারণ থাকতে পারে যার ফলে বাংলাদেশে মানুষের সন্তান ধারণের ক্ষমতা বেশি।
এই সমস্যা সমাধানের জন্য:
- প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা ও জ্ঞান বৃদ্ধি করতে হবে।
- কম বয়সে বিয়ে বন্ধ করতে হবে।
- গর্ভধারণ রোধের কার্যকর পদ্ধতি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে।
- দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
- সরকারি নীতিমালাগুলি আরও কার্যকর করতে হবে।
এই পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করলে বাংলাদেশে সন্তান ধারণের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
উপসংহারঃ
আসা করি আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা সুন্দরভাবে মাসিকের কত দিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয় না, এই বিষয়ে বৈজ্ঞানিক তথ্য জানতে পারলেন। বিষয় গুলি মেনে চললে আপনারা বিভিন্ন ভাবে উপকৃত হবেন।
Here are some additional resources where you can get all the theory in details, these are genuine reference which worldwide acceptance.
- World Health Organization (WHO) on Family Planning: https://www.who.int/health-topics/family-planning
- International Planned Parenthood Federation (IPPF): https://www.ippf.org/
- Bangladesh Society of Obstetricians and
- বাংলাদেশে গর্ভধারণ ও সন্তান জন্মদান সম্পর্কে তথ্য: https://bangladesh.unfpa.org/en/topics/maternal-health-4
- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) গর্ভধারণ ও সন্তান জন্মদান সম্পর্কে তথ্য: https://www.who.int/health-topics/maternal-health
Related Posts:
Sumon is a health specialist and sociologist dedicated to improving community well-being. With expertise in public health and social dynamics, HE has led numerous health initiatives and conducted impactful research. Passionate about fostering healthier communities through informed, compassionate care, Sumon combines knowledge and empathy to create holistic solutions.